মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘তাসনিম’র বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজকালে আলি খামেনির অন্যতম প্রতিনিধি, ইসলামি নেতা আয়াতোল্লাহ আহমাদ আলামোলহোদা এ মন্তব্য করেন।
ইরানকে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে ইঙ্গিত করে আলামোলহোদা বলেন, এখন ইরানই কেবলমাত্র ইরান নয়। ইরান আর ভৌগোলিকভাবে সীমাবদ্ধ নয়। ইরাকের মিলিশিয়া গোষ্ঠী ‘দ্য পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট’ (পিএমইউ), ইয়েমেনের ‘হুথি’, সিরিয়ার ‘ন্যাশনাল ফ্রন্ট’, ফিলিস্তিনে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এবং লেবাননের হিজুবুল্লাহ, এরা সবাই ইরান।
‘ইরান আছে উত্তরে এবং দক্ষিণে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল কী ইরান নয়? ইয়েমেন থেকে যে ড্রোন সৌদি আরবে হামলা করেছে, তাও কী ইরান নয়? এ অঞ্চলে যেখানেই প্রতিরোধ বাহিনী আছে, তারাই ইরান। ’
সম্প্রতি সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার ঘটনায় রিয়াদ, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের ইউরোপীয় মিত্ররা ইরানকে দোষারোপ করছে। এমনকি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুঙ্কারও দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ইয়েমেনের হুথিরা ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। অন্যদিকে ইরান বারবার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তেহরানকে সরাসরি ওই হামলার সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টাকে বিশ্ববাসীর সঙ্গে প্রতারণা হিসেবে অভিহিত করেন আলামোলহোদা।
পশ্চিমা বিশ্বের দেশ, বিশেষ করে আমেরিকা ও আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ সৌদি আরব, ইসরায়েলসহ অন্যদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ধর্মীয় এ নেতা বলেন, ইরানের ওপর হামলা হলে অর্ধেক দিনের মধ্যে লেবাননের পার্শ্ববর্তী ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এইচজে