যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পত্রিকা দ্য স্টেট প্রেস প্রথম ভলকারের পদত্যাগের খবর দেয়। তারপর শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম বলছে, হুইসেলব্লোয়ার (গোপন অভিযোগকারী) ওই ফোনালাপের তথ্য প্রকাশের পর বিতর্কের মুখে পড়েছেন ভলকার। তার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ২৫ জুলাই ট্রাম্প ও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির মাঝে ৩০ মিনিটের মতো এক ফোনালাপ হয়। কিন্তু, পরবর্তীতে ওই ফোনালাপের তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। এই প্রতিবেদনে ভলকারের নামও উল্লেখ করা হয়।
হুইসেলব্লোয়ারের অভিযোগ মতে, ওই ফোনালাপে ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে চাপ প্রয়োগ করেন বলে স্পষ্ট হয়।
ইউক্রেনের একটি গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বাইডেনের ছেলে হান্টার। ২০১৬ সালে হান্টারসহ ওই গ্যাস কোম্পানির কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অপরাধের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। জো বাইডেন সে সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনকে ঘায়েল করতে তিনি ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ট্রাম্প নতুন করে তদন্ত শুরু করতে নবনির্বাচিত ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে চাপ দেন বলে ফোনালাপে বোঝা যায়।
এ ঘটনায় বিদেশি শক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প মূলত আসন্ন নির্বাচনকেই প্রভাবিত করতে চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে সর্বমহলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিশংসনের মুখে পড়তে হতে পারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯/আপডেট ০৯৪৫
এএ/এইচএ/