সোমবার (২১ অক্টোবর) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মধ্য দিয়ে নেতানিয়াহু নতুন সরকার গড়ার প্রচেষ্টা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, গত মাসে ইসরায়েলের পুনঃনির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিশ্চিত করতে পারেনি। দেশটির সংবিধান অনুসারে কোনো দল বা জোটকে সরকার গঠন করতে হলে পার্লামেন্ট ‘নেসেট’র ১২০ আসনের মধ্যে অন্তত ৬১ আসন নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু নির্বাচনে নেতানিয়াহুর ডানপন্থি লিকুদ পার্টি পায় মাত্র ৩২ আসন, অন্যদিকে মধ্যপন্থি বেনি গান্টজের ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি পায় ৩৩ আসন। ওই পরিস্থিতিতে সর্ব্বোচ্চ আসন পাওয়া দুই দলের সামনেই জোট সরকার গঠনের চেষ্টা করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না।
শেষমেশ দেশটির প্রেসিডেন্ট রুভেন রিভলিন প্রথমে নেতানিয়াহুকে জোট সরকার গঠনের সুযোগ দেন। কিন্তু, নেতানিয়াহু সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এবারে এ সুযোগ পেতে চলেছেন বেনি গান্টজ। প্রেসিডেন্ট এরই মাঝে এ ব্যাপারে ইঙ্গিতও করেছেন।
সোমবারের বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, বৃহৎ একটি জাতীয় সরকার গড়তে ও আবারও একটি পুনঃনির্বাচন এড়াতে গত কয়েক সপ্তাহে বেনি গান্টজকে সমঝোতার টেবিলে আনতে আমি সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু তা সফল হয়নি।
অন্যদিকে গান্টজের ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তার দল একটি উদার জোট সরকার গঠনের ব্যাপারে সংকল্পবদ্ধ। এ কারণেই তারা দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত নেতানিয়াহু ও ডানপন্থী লিকুদ পার্টির সঙ্গে জোট গড়তে আগ্রহী নয়।
সাবেক সামরিক সেনাপ্রধান বেনি গান্টজও যদি জোট গড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার গঠনে ব্যর্থ হন, তবে ইসরায়েলকে দ্বিতীয়বারের মতো পুনঃনির্বাচনের দিকে যেতে হবে। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে ইসরায়েলের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেবারে কোনো দল বা জোটই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে না পারায় সেপ্টেম্বরে পুনঃনির্বাচন দেওয়া হয়। নতুন সরকার গড়ার ব্যাপারে ২৮ দিনের সময় পাবেন বেনি গান্টজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এইচজে