এরপরই মোদী সরকার বাজারে আনে নতুন ৫০০ এবং ২ হাজার রুপির নোট। দাবি করা হয়, এই নোটগুলিতে নিরাপত্তার অতিরিক্ত ব্যবস্থা আছে।
সরকারি তথ্য বলছে, নতুন নোটগুলির এইসব নিরাপত্তার গণ্ডি পেরোনো মোটেও কঠিন কাজ নয় জালনোট কারবারীদের কাছে। বরং ২ হাজার রুপির নোটই সবচেয়ে বেশি জাল ধরা পড়ছে বাজারে। নোট বাতিলের পর ২০১৭ ও ২০১৮ সালে, গোটা দেশে যত জাল রুপি উদ্ধার হয়েছে তার ৫৬ শতাংশের বেশি ২ হাজার রুপির নোট।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) সর্বশেষ রিপোর্টে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে চলে এসেছে। সেইসময় নোটবন্দির সমর্থনে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ছিল, এই সিদ্ধান্তের ফলে জঙ্গি সংগঠনগুলির আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। তিন বছর আগে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি বলেছিলেন, জঙ্গিরা কীভাবে ভারতীয় অর্থ পায় তা কখনও ভেবে দেখেছেন? সীমান্ত পারের শত্রুরা জাল নোটের মাধ্যমেই তাদের কাজকর্ম চালায়।
সেই সময় নোটবন্দীর সিদ্ধান্তকে ‘ভারতের শুদ্ধিকরণের আন্দোলন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মোদী। নোট বন্দীর তিন বছর পর এনসিআরবি বার্ষিক তথ্য বলছে, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দেশজুড়ে মোট ৪৬ দশমিক ০৬ কোটি রুপির জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। তারমধ্যে ৫৬ দশমিক ৩১ শতাংশই ২ হাজার রুপির জাল নোট উদ্ধার হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ২০১৭ সালে যে পরিমাণে জাল ২ হাজার রুপির জালনোট উদ্ধার হয়েছিল, তা ২০১৮ সালে আরও বেড়েছে। ২০১৭ সালে উদ্ধার হওয়া জাল রুপি ৫৩ দশমিক ৩০ শতাংশ ছিল ২ হাজার রুপির নোট, আর ২০১৮ সালে এই পরিমাণটা ছিল ৬১ দশমিক ০১ শতাংশ।
এনসিআরবির রিপোর্টে আরও চমক দিয়েছে ভারতবাসীকে। জাল ২ হাজার রুপির নোট উদ্ধারের অধিকাংশ ঘটনা মাত্র কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে মোদীর গুজরাট।
২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত গুজরাট থেকে ৩৪ হাজার ৬৮০টি জাল ২ হাজার রুপির নোট উদ্ধার হয়। যার সম্মিলিত পরিমাণ ৬ দশমিক ৯৩ কোটি রুপি। এরপর রয়েছে যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ ৩ দশমিক ৫ কোটি, তামিলনাড়ু ২ দশমিক ৮ কোটি ও উত্তরপ্রদেশ ২ দশমিক ৬ কোটি রুপি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
ভিএস/এমএমএস