এর পাশাপাশি পায়রা ও মোংলা বন্দরকে চার (৪) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে পাঁচ (৫) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মোরা আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার (৩০ মে) ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
সাত (৭) নম্বর বিপদ সংকেতের মানে হলো, সাগরে মাঝারি শক্তির একটি ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসছে, যেখানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
সরাসরি পায়রা ও মোংলার দিকে না এসে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে এই দুই বন্দরকে পাঁচ (৫) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর রোববার (২৮ মে) মধ্যরাতে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দফতর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা অনুযায়ী, তখন এর নাম দেওয়া হয়ে ‘মোরা’ (MORA)।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং পরদিন তা ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’য় রূপ নেয়। পরে সেটি দক্ষিণপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করে।
** বরিশালে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
** ‘মোরা’ উপদ্রুত এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ
** ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় প্রস্তুত মোংলা বন্দর
** খুলনায় প্রস্তুত ২৫০ সাইক্লোন সেন্টার, চলছে মাইকিং
** ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’, জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এসএনএস