ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি নিয়ে ক্ষোভ, বৈঠকে বসার প্রস্তাব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৭
বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি নিয়ে ক্ষোভ, বৈঠকে বসার প্রস্তাব

ঢাকা: আইনমন্ত্রীর দেওয়া নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার খসড়া দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে আপিল বিভাগ বলেছেন, মন্ত্রী সাক্ষাতের পরই পুরোপুরি ইউটার্ন করেছেন। এটা কী?

এ বিষয়ে মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সরকারের যেকোনো এক্সপার্ট আপিল বিভাগের সঙ্গে বসতে পারে, এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩০ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ প্রস্তাব দেন।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, রোববার থেকে বৃহস্পতি পর্যন্ত দুপুর ২টা থেকে আমি এবং আপিল বিভাগের বিচারপতিরা রাত ১২টা পর্যন্ত আপনাদের (সরকার) সময় দেবো। বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা নিয়ে আর রশি টানাটানি নয়। আইনমন্ত্রীসহ সরকারের যেকোনো এক্সপার্ট আসবেন, বৈঠকে বসবো।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খসড়াটি হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

পরে আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বিধিমালার খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেছি। এটি এখন তিনি দেখবেন। পরে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

গত রোববার (২৩ জুলাই) রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন মঞ্জুর করে এ গেজেট প্রকাশে আরও এক সপ্তাহ সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এর আগে গত ১৬ জুলাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ সংক্রান্ত গেজেট শিগগিরই প্রস্তুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী।

এরও আগে গত ০২ জুলাই এক অনুষ্ঠান শেষে ১৫ জুলাইয়ের আগেই প্রকাশিত হবে বলে সাংবাদিকদের কাছে আশা প্রকাশ করেছিলেন আইনমন্ত্রী। ওইদিনই সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ গেজেট প্রকাশে রাষ্ট্রপক্ষের করা দুই সপ্তাহের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছিলেন, ‘এটিই লাস্ট চান্স’।

১৯৯৯ সালের ০২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের এ নির্দেশনার পর গত বছরের ০৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।

গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিলো ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।

এর পরই সুপ্রিম কোর্ট খসড়া বিধিমালা সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান।

গত বছরের ০৮ ডিসেম্বর অবশ্য নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।

তবে সর্বোচ্চ আদালত তলব করলে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব গেজেট প্রকাশে ফের সময় চেয়ে নেন। এরপর থেকেও বেশ কয়েক দফা আবেদন জানিয়ে সময় বাড়িয়ে নিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির খসড়া এখন প্রধান বিচারপতির হাতে

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৭
ইএস/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।