বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকন ও সাকিব মাহবুব এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা শুনানি করেন।
গত ৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদের পক্ষে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরে জবাব না পেয়ে তৌহিদ হাইকোর্টে রিট করেন।
নোটিশ পাঠানোর পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গত ৩ জানুয়ারি নেওয়া শপথ বাতিল বা প্রত্যাহার করতে স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংসদের মেয়াদোত্তীর্ণ হলে আগের সংসদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এরা দায়িত্ব পালন করবেন। সে অনুযায়ী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ৩ জানুয়ারি নেওয়া শপথে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শপথের জন্য নির্বাচিতদের উচিত ছিল ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করা। এজন্য আমরা বলেছি, গেজেটের মাধ্যমে এ শপথ বাতিল করতে।
আর অনুচ্ছেদ ১৪৮(৩) এ বলা হয়েছে, এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের আগে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সে ক্ষেত্রে শপথগ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
অনুচ্ছেদ ১২৩(৩) এ বলা হয়েছে, তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিরা, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্য রূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
ইএস/এসআই