সোমবার (২৮ জানুয়ারি) এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্তকারী কমকর্তা মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন না দেওয়ায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ধার্য করেন।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন রাজধানীর গুলশান থানায় মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে মুসা’র বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেন।
গত বছরের ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি গাড়ি উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারপর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভোলা বিআরটিএ’র কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ দিয়ে উদ্ধারকৃত গাড়িটি রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। মুসা বিন শমসের ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক প্রযোজ্য।
শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। তবে তিনি এই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
ওই ঘটনায় তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুসা’র বিরুদ্ধে মামলা করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সুপারিশও করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। পাশাপাশি কর ফাঁকি দেওয়া অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় রাজস্ব বিভাগের কাছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পর এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
এমএআর/জেডএস