ওই ঘটনায় করা মামলায় আসামি পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামানের জামিন আবেদনের নিষ্পত্তি করে সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়াও একমাসের মধ্যে ওই মামলার তদন্ত শেষ করতেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
আইনজীবীরা জানান, গত বছরের ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলম সরোয়ার্দীর বাসা থেকে ৪৯ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
পরে থানায় ডিউটি করা অবস্থায় সরোয়ার্দীকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল আসাদুজ্জামানসহ আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান, সরোয়ার্দীসহ অনেকের জবানবন্দিতে এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলামের নাম উঠে আসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া এবং স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওসির নাম উঠে আসার পরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এর মধ্যে আসাদুজ্জামান হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসে।
পরে ওসিকে কেন এ মামলায় আসামি করা হয়নি এবং কেন এখন পর্যন্ত তদন্ত শেষ হয়নি, সে ব্যাখ্যা জানতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন আদালত।
৪ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে হাজির হন।
আদালত শুনানি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে মামলাটির তদন্ত একমাসে শেষ করতে এবং ওসি কামরুল ইসলামকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
ইএস/এএ