গত ২০ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে এ সাতজন সাক্ষ্য দেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ফজলুল কবীর।
গত বুধবার (২২ মে) আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন— পুলিশ হাসপাতালের ডাক্তার আশরাফ হোসেন, খুলনা জেলার রূপসা থানার এসআই আহসান ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) এসআই শেখ আনোয়ার হোসেন এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার আগে রোববার সাক্ষ্য দিয়েছেন— মানিকগঞ্জের সিংগাইর বাছত গ্রামের দারগ আলী বেপারীর ছেলে সামছুল ইসলাম এবং সিলেটের কানাইঘাট থানার এসআই কাইয়ুম মুন্সী।
২০০১ সালে পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন। এরপর ওই ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৪ সালের ২৩ জুন হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন। রায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— মুফতি আবদুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, মুফতি আবদুল হাই, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আরিফ হাসান সুমন ও মওলানা মো. তাজউদ্দিন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ ও শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ চার আসামি এখনও পলাতক।
অন্যদিকে, বিস্ফোরক আইনে করা মামলাটিতে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। ২০১৭ সালে একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে র্দীঘদিন কোনো সাক্ষী আদালতে আসেননি।
বালাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ