গাজীপুরের কোনাবাড়ী কলেজের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন মো. মোজাম্মেল হক।
সোমবার (২৯ জুলাই) আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, রুলে চতুর্থ শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যন্ত চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইন, বাবুল চন্দ্র শীল, প্রফেসর এফ এম আব্দুল রব, সায়মা প্রসাদ ঘোষ, ফিরোজ মুকুল, সাইফুর রহমান খানের লেখা ইংরেজি গ্রামার কেন অশুদ্ধ, অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং এসব লেখকের ইংরেজি গ্রামার বইয়ের প্রকাশনা, বিপণন বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক, পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৪র্থ শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যন্ত এনসিটিবি অনুমোদিত যেসব ইংরেজি গ্রামার বই আছে, তার প্রায় সবগুলোতেই ব্যাকরণগত নানা ভুল রয়েছে। ‘অ্যাডভান্স লার্নার্স কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন’ নামের গ্রামার বইটি চতুর্থ শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্য। এই গ্রামার বইয়ের ‘Bangladesh, Dog, Dhaka ইত্যাদি শব্দকে pronoun হিসেবে দেখানো হয়েছে।
তাছাড়া person মূলত সাতটি (i, you, we, he, she, it, they) হলেও এসব গ্রামার বইয়ে (me, us, my, our, ours, tho, the, your, yours, him) -সহ দেখানো হয়েছে হয়েছে ২৫টি। এনসিটিবি অনুমোদিত প্রায় প্রত্যেকটি ইংলিশ গ্রামারেই একই ভুল আছে।
এসব দেখে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী। ২৮ জুলাই হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯,২০১৯
ইএস/এমএ