ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মাসুদা ভাট্টির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
মাসুদা ভাট্টির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন গ্রেপ্তারের পর পুলিশি হেফাজতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন

ঢাকা: সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন। তার পক্ষে শুনানি করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন একই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিনের আবেদন করেন ঢাকা বারের সভাপতি গোলাম মোস্তাফা, আমিনুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন চৌধুরী। সেদিন আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি গত বছরের ২১ অক্টোবর একই আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন উচ্চ আদালত থেকে এ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা ছিল, সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের বিষয়ে অবহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে পুনরায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিতে হবে।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে এক প্রশ্নের জেরে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল।

এ মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। পরে ব্যারিস্টার মইনুল তার মন্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

কিন্তু সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দাবি অনুযায়ী প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় গত বছরের ২১ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে মানহানির এ মামলা দায়ের করেন মাসুদা ভাট্টি।

গত বছর ২২ অক্টোবর রংপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।  ওইদিন রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই সময় মাসুদা ভাট্টির মামলাসহ একই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে ২৮টি মামলা হয়। এসব মামলায় জামিন হওয়ার ৩ মাস ৬ দিন কারাভোগের পর চলতি বছর ২৭ জানুয়ারি রাতে তিনি জামিনে মুক্ত পান।

একই সঙ্গে তাকে মেয়াদান্তে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন আদালত। সে অনুযায়ী চলতি বছর ১২ মে তিনি মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে নিয়মিত জামিন পান। হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের আবেদন করলে গত ১৮ এপ্রিল আপলি বিভাগ ২ সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। সে অনুযায়ী গত ৩ সেপ্টেম্বর তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এমএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।