বুধবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে রায় ঘোষণার পরপরই উল্লাস করেন তার সহপাঠীরা।
রায়ের বিষয়ে রিশার বাবা ব্যবসায়ী রমজান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আর কোনো মা-বাবার বুক যেন এভাবে খালি না হয়।
আরও পড়ুন>> রিশা হত্যা মামলার একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড
মা তানিয়া হোসেন বলেন, রায়ের ফলে রিশার আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। শাস্তি দ্রুত কার্যকর হোক, সেটা চাই।
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের প্রিন্সিপাল আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আশা করছি হাইকোর্টেও রায় বহাল থাকবে এবং দ্রুত তা কার্যকর হবে। আমরা চাই আর কোনো শিক্ষার্থীকে যেন এভাবে অকালে জীবন দিতে না হয়।
পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারের ব্যবসায়ী রমজান হোসেনের ১৪ বছর বয়সী মেয়ে রিশা উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুরে স্কুলের সামনে ফুটওভার ব্রিজে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। চারদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
হামলার দিনই রিশার মা তানিয়া বেগম রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় এবং দণ্ডবিধির ৩২৪/৩২৬/৩০৭ ধারায় হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর আঘাতের অভিযোগে মামলা করেন। রিশা মারা যাওয়ার পর এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলার একমাত্র আসামি দর্জির দোকানি ওবায়দুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
কেআই/এইচএডি