মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে নবীন আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিচারপতি নুরুজ্জামান বলেন, আমি যখন ১৯৮০ সালে হাইকোর্ট তালিকাভূক্তির পরীক্ষা দিই তখন প্রথম লিখিত পরীক্ষা যুক্ত করা হয়।
বার কাউন্সিলে নিম্ন আদালতে আইনজীবী তালিকাভূক্তিতে ২০১২ সাল থেকে এমসিকিউ পরীক্ষা যুক্ত করা হয়। নিম্ন আদালতে দুই বছর (আইনের উপর স্নাতকোত্তর থাকলে এক বছর) আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিসের পর হাইকোর্টে তালিকাভূক্তির পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা হয়।
এতোদিন হাইকোর্টে শুধু লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে আইনজীবী তালিকাভূক্তি সম্পন্ন করা হতো। এরপর আসন্ন হাইকোর্ট পরীক্ষায়ও একই পদ্ধতি চালুর ব্যাপারে নোটিশ দিয়েছে বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটি। এ নিয়ে পরীক্ষার্থীদের অনেকেই এমসিকিউ বাতিলের জন্য দাবি তুলছেন।
বিচারপতি নুরুজ্জামান আরও বলেন, আমরা আইনজীবী তালিকাভূক্তি পরীক্ষাকে এমন মানে উন্নীত করতে চাই, যাতে একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার চেয়ে একজন আইনজীবী কোনো অংশেই কম না হয়।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গাজী মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, হিউম্যান রাইটস এন্ড লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান বাদল, ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ প্রমুখ।
পরে নবীন আইনজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণমূলক ক্লাস নেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির দুই সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন, শেখ হেমায়েত হোসেন, ঢাকার তৃতীয় যুগ্ম জেলা সাউদ হাসান এবং বাংলাদেশ আইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
কেআই/ইউবি