বুধবার (১৩ মে) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চ্যুয়াল আদালতে তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
আদালত দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান।
মেজবাহুল ইসলাম আসিফ বলেন, আদালত জামিন দেননি, বলেছেন রেগুলার কোর্টে (ছুটি শেষে) যেতে।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন,গত জানুয়ারি মাসেও তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল কিছু ডাইরেকশন দিয়ে খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আজ শুনানি হয়েছে কিন্তু তিনি জামিন পাননি।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বজলুর রশীদের প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলেছেন।
ঘটনার বিবরণী উল্লেখ করে তখন রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছিলেন, ডিআইজি বজলুর রশীদ অবৈধ সম্পদের অর্থ থেকে রাজধানীর সিদ্বেশ্বরীতে তিন কোটি আট লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনেন।
এ বিষয়ে দুদক সম্মিলিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে অসাধু উপায়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে বলা হয়, ঢাকার সিদ্বেশ্বরী রোডে রূপায়ন হাউজিংয়ের স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের দুই হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশীদ। এর দাম হিসেবে পরিশোধ করা তিন কোটি ৮ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি।
গতবছর ২০ অক্টোবর দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। ওইদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
ইএস/এএ