আর তা হচ্ছে কাউকে বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে কাউকে হেয় করে কথা বলবো না। অনেক দিন পর কোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে আমরা অনেকেই প্রথম প্রশ্ন করি এত শুকনা কেন, বা কি খেয়ে এত মোটা হয়েছো?
রং নিয়েও কথা বলতে ছাড়ি না অনেকেই।
ফিগার সচেতনতার নামে আধুনিক সমাজে অন্যকে হেয় করার যেন এক ধরনের বাজে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।
বন্ধু-আত্মীয় বা কলিগ যেই হোক এভাবে হেয় করে কথা বললে কখনোই সে প্রিয় থাকতে পারে না। এই বোধটাও খুব জরুরি। আর যাকে প্রতিনিয়ত কথাগুলো বলা হয়, তার জন্য এটা অপমানজনক, এতে করে দেখা দিতে পারে হতাশা তিনি ভুগতে পারেন হীনম্মন্যতায়।
বডি শেমিং করে অনেকেই চান প্রিয়জনের জীবনে ভালো পরিবর্তন আনতে। কিন্তু মানুষকে অপমান করে কি শোধরানো সম্ভব? এসব করে তার তো লাভ খুব একটা হয় না। বরং বডি শেমিং-এর শিকার হয়ে তিনি অনেক সময় জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। যার পরিণাম হতে পারে ভয়াবহ।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে শুধুমাত্র ২০১৬ সালেই আমেরিকাতে প্রায় ৪২ লক্ষ মানুষ প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন চেহারা সুন্দর করতে এবং স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করতে।
আর যাদেরকে বডি শেমিং করা হয়, তারা অন্যের কথা কান দেবেন না। নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের যত্ন নিন। পৃথিবীর সবাই সুন্দর-মানুষের আসল সৌন্দর্য তার মনে। আর সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটে তার আচরণে-কাজে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
এসআইএস