বছরে দেশে উৎপাদিত হচ্ছে ৩৭৪৪ টন সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক। এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক সামগ্রী একবার ব্যবহারের পরই চলে যাচ্ছে খাল-বিল, নদী-নালা হয়ে সাগরে।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রে মাছের মোট ওজনের চেয়ে প্লাস্টিক পণ্যের ওজন বেশি হবে। তথ্যটাই শিউরে ওঠার জন্য যথেষ্ট। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে সরকারি উদ্যোগের চেয়েও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে ব্যক্তিপর্যায়ের সচেতনতা।
আসুন দেখে নিই কীভাবে আমরা ব্যক্তি পর্যায়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে পারি:
বাজার করার সময় আমরা বিপুল পরিমাণে একবার ব্যবহারযোগ্য পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করি। প্রতিটি পণ্যের জন্য আলাদা পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কম নয়। পাটের বা কাপড়ের তৈরি একটি ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে গেলেই পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার কমাতে অবদান রাখতে পারি।
আপনি যে দোকানে নিয়মিত চা/কফি পান করেন, সে দোকানী যদি চা/কফি পরিবেশনের জন্য ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহার করে থাকেন তবে তাকে সেটা ব্যবহার না করার অনুরোধ করতে পারেন। এতেও কাজ না হলে সেই দোকানটা পরিহার করতে পারেন।
আমরা সবাই কমবেশি কোমল পানীয় পান করি। কোমল পানীয়ের সঙ্গে স্ট্র/পাইপ ব্যবহার না করি। আর স্ট্র/পাইপ ছাড়া আপনার অসুবিধা হলে বাঁশের তৈরি স্ট্র আপনার রাখতে পারেন সঙ্গে।
ভ্রমণের করার সময় আমরা আর কিছু কিনি বা না কিনি এক বোতল মিনারেল ওয়াটার অতি অবশ্যই বাস স্ট্যান্ড/ট্রেন স্টেশন থেকে কিনি। আর এই বোতলগুলা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা চলতি পথে ছুঁড়ে ফেলি কিংবা বাস/ট্রেনের ভেতরেই ফেলে যাই। এটা না কিনে আপনি যদি একটা বোতল সব সময় নিজের ছোট্ট ব্যাগটাতে বহন করেন ( খেয়াল রাখবেন বোতলটা যেন রি-ইউজেবল হয়), তাহলে এই বিশাল পরিমাণ প্লাস্টিক থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এটা অর্থনৈতিকভাবেও সাশ্রয়ী।
প্রথমে নিজে সচেতন হোন। এরপর পরিবার ও বন্ধুদের সচেতন করার চেষ্টা করুন। এভাবেই আমরা একদিন দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এসআইএস