দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাকে মনের মতো করে সাজাতে চান আব্দুল লতিফ প্রধান। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আমার ইউনিয়ন মহিমাগঞ্জের সুগার মিলটিসহ নদীর এ পাশের চারটি ইউনিয়নের আধুনিকায়ন ও তরুণ প্রজন্মের জন্য স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রয়োজন।
আওয়ামী পরিবারের সন্তান লতিফের বাবা ও বড় ভাইয়েরাও রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৮৯ সালে স্কুলজীবনেই মিছিল-মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন তিনি। পরে পর্যায়ক্রমে গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯২ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৯৪ সালে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ ও ২০০৪ সালে দুই মেয়াদে ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।
২০০৩ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ২০১০ সালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আব্দুল লতিফ প্রধান।
তবে গত বছরের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী ফারুক কবির আহম্মেদের কাছে ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। হেরে গেলেও ৯৯ হাজার ৪১৪ ভোট পেয়ে গোবিন্দগঞ্জের রাজনীতিতে নিজের অবস্থান ভালো করেই জানান দেন তিনি।
আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, ‘২০০১ সাল থেকেই আমি ধারাবাহিকভাবে দলের মনোনয়ন চেয়ে আসছি। ২০০৮ সালে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে পাঠানো ৮ জনের মধ্যে আমার নামও ছিলো’।
‘আগামী সংসদ নির্বাচনেও আমি মনোনয়ন চাইবো। নেত্রী যাকে পছন্দ করবেন, তাকে মনোনয়ন দেবেন। নৌকার প্রার্থী যিনিই হোন না কেন, তার হয়ে কাজ করবো’।
গোবিন্দগঞ্জে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মনোনয়ন যিনিই পান না কেন, সবাই নেত্রীর নির্দেশ অনুসরণ করবেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করছি, ভবিষ্যতেও করবো’।
বর্তমান সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার এবং সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরীও নৌকা প্রতীক চাইছেন, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দলের অন্য ওই তিন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে নিজের পর বর্তমান এমপি আবুল কালাম আজাদকে সবচেয়ে বেশি যোগ্য মনে করেন আবদুল লতিফ প্রধান। তিনি বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এখানে ঐক্যবদ্ধ। তিনি ও আমি মাঠে আছি’।
‘অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে গোবিন্দগঞ্জ আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তৃণমূলের সঙ্গেও তার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং, ভোটের মাঠে তিনি খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না। তবে লোক হিসেবে মনোয়ার হোসেন চৌধুরী খুবই ভালো’।
প্রতিপক্ষ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সম্পর্কে আবদুল লতিফ বলেন, ‘বিএনপির মনোনয়ন যিনিই পান না কেন, গোবিন্দগঞ্জের রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবেন না। সহিংস আন্দোলনের কারণে বিএনপির অবস্থান এখন খুবই দুর্বল। মানুষ তাদেরকে ভোট দেবেন না’।
‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক কবির আহম্মেদ হয়তো নির্বাচন করতে চাইবেন। কিন্তু এখানকার জনগণ তাকে আর ভোট দেবেন না। কারণ, যে স্বপ্ন নিয়ে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছিল, সে স্বপ্ন পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন তিনি’।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এজেড/বিএস/এএসআর