ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজ রাঙাপ্রভাতে যান্ত্রিক ক্রটির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নয় প্রকৌশলীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। যেকোনো সময় ওই প্রকৌশলীদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিমানবন্দর থানায় বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়েল ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলা নম্বর-২৩।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, স্থায়ী বহিষ্কৃত তিনজন: প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন।
সাময়িক বহিষ্কৃত ছয়জন: প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুত্ফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন এবং টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।
‘অভিযুক্ত নয়জনকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরে আযম মিয়া।
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, মামলার তদন্ত নিজ গতিতে চলছে। চলমান প্রক্রিয়া অনুযায়ী মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। এই নয় প্রকৌশলীকে যেকোনো সময় গ্রেফতার করা হবে।
এদিকে, বিমানবন্দর থানা পুলিশের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি সংস্থাও এ ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র।
গত ২৭ নভেম্বর ঢাকা থেকে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ এয়ারক্র্যাফ্ট রাঙাপ্রভাতের বিজি-১০১১ ফ্লাইটে হাঙ্গেরি যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে কয়েকজন মন্ত্রীসহ দেড় শতাধিক সফরসঙ্গী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
পথে যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয় ফ্লাইটটি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে সেই ত্রুটি মনুষ্যসৃষ্ট বলেই জানা যায়। এরপর তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
এসজেএ/এএটি/এমজেএফ