নিজের সাধ্যমতো উপকরণ দিয়ে লাল-সবুজ রঙের ট্যাংক বানিয়েছেন তিনি। জাহাঙ্গীরের সে বাঁশ-কাঠের ট্যাংকের উপর পত পত করে উড়ছে বাংলাদেশের বিজয় নিশান জাতীয় পতাকা।
আওয়ামী লীগের কোনো জনসভা মানেই জাহাঙ্গীর মুন্সীর উপস্থিতি। সঙ্গে নিয়ে আসেন নিজ হাতে বাঁশ-কাঠ দিয়ে গড়া ট্যাংক, রাইফেল, রেডিওসহ নানা যুদ্ধাপকরণ। অনেকটা অগোচরেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানুষের মধ্যে জাগ্রত করতে কাজ করছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব জাহাঙ্গীর।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শোক দিবসসহ সব জাতীয় দিবসে এভাবে বের হই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করতে আমার ভালো লাগে। ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর ভক্ত আমি।
আওয়ামী লীগের কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত না। আমি সরাসরি আওয়ামী লীগ করি। আমার বাসায় কামান, এলএমজি, রাইফেল বানানো রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে মেলা হলে শিশুদের এসব দেখাই আমি। শিশুদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যাতে ভালোবাসা তৈরি হয় সেজন্য এ কাজ করি।
জাহাঙ্গীরের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী। তবে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় বসবাস করেন তিনি। স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে পশ্চিম আগারগাঁওয়ে থাকেন বঙ্গবন্ধুর এ ভক্ত।
মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর প্রতি এমন পাগল হওয়ায় পশ্চিম আগারগাঁওয়ের লোকজন তাকে মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা বলেও ডাকেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও দল নিয়ে কাজ করলেও এখন পর্যন্ত দল থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, সত্যিকারের আওয়ামী লীগকে যারা ভালোবাসে, তারা টাকার জন্য রাজনীতি করেন না। আমি কিছু চাই না। আমাকে মূল্যায়ন করুক এটাই চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
এমসি/এমজেএফ/এএ