ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘ট্যাংক’ নিয়ে জনসভায় মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা জাহাঙ্গীর

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
‘ট্যাংক’ নিয়ে জনসভায় মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা জাহাঙ্গীর ট্যাংক নিয়ে জনসভায় হাজির জাহাঙ্গীর মুন্সী

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের জনসভায় যোগ দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সোহরাওয়ার্দী এলাকায় নেমেছে জনতার ঢল। এর মধ্যে সবার নজর কাড়ছেন একজন। তিনি ‘বঙ্গবন্ধুর জন্য পাগল জাহাঙ্গীর মুন্সী’। মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা হিসেবেই বেশি পরিচিতি তার।

 

নিজের সাধ্যমতো উপকরণ দিয়ে লাল-সবুজ রঙের ট্যাংক বানিয়েছেন তিনি। জাহাঙ্গীরের সে বাঁশ-কাঠের ট্যাংকের উপর পত পত করে উড়ছে বাংলাদেশের বিজয় নিশান জাতীয় পতাকা।

ব্যতিক্রম এ উদ্ভাবন ঘিরে জনসভা এলাকায় সৃষ্টি হয় জটলা, সেলফি তোলার হিড়িক।

আওয়ামী লীগের কোনো জনসভা মানেই জাহাঙ্গীর মুন্সীর উপস্থিতি। সঙ্গে নিয়ে আসেন নিজ হাতে বাঁশ-কাঠ দিয়ে গড়া ট্যাংক, রাইফেল, রেডিওসহ ‍নানা যুদ্ধাপকরণ। অনেকটা অগোচরেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানুষের মধ্যে জাগ্রত করতে কাজ করছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব জাহাঙ্গীর।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শোক দিবসসহ সব জাতীয় দিবসে এভাবে বের হই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করতে আমার ভালো লাগে। ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর ভক্ত আমি।
বঙ্গবন্ধুর ভক্ত জাহাঙ্গীরের নিজ হাতে বানানো ট্যাংক
আওয়ামী লীগের কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত না। আমি সরাসরি আওয়ামী লীগ করি। আমার বাসায়  কামান, এলএমজি, রাইফেল বানানো রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে মেলা হলে শিশুদের এসব দেখাই আমি। শিশুদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যাতে ভালোবাসা তৈরি হয় সেজন্য এ কাজ করি।

জাহাঙ্গীরের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী। তবে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় বসবাস করেন তিনি। স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে পশ্চিম আগারগাঁওয়ে থাকেন বঙ্গবন্ধুর এ ভক্ত।

মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর প্রতি এমন পাগল হওয়ায় পশ্চিম আগারগাঁওয়ের লোকজন তাকে মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা বলেও ডাকেন।

মুক্তিযুদ্ধ ও দল নিয়ে কাজ করলেও এখন পর্যন্ত দল থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, সত্যিকারের আওয়ামী লীগকে যারা ভালোবাসে, তারা টাকার জন্য রাজনীতি করেন না। আমি কিছু চাই না। আমাকে মূল্যায়ন করুক এটাই চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
এমসি/এমজেএফ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।