‘গোল্ডেন ‘এ প্লাস’ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত সুমার!’ এই শিরোনামে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশ হয়।
যাতে উল্লেখ থাকে-২০১৬ সালে খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা দক্ষিণপাড়া রেজি. বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে গোল্ডেন এ প্লাস পায় সুমা খাতুন।
বর্তমানে সে শামসুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। স্কুল থেকে বিনামূল্যে বই পেলেও খাতা, কলম, পোশাক ও ব্যাগ কিনে দিতে পারছেন না তার দিনমজুর মা খাদিজা বেগম। যে কারণে নতুন শ্রেণিতে স্কুলে যেতে পারছে না সুমা। সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী মায়ের সবদিন কাজ থাকে না। যেদিন কাজ হয় তা দিয়ে সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খান তিনি। সুমার তিন বছর বয়সে তার বাবা তাদের ফেলে রেখে চলে যান। সেই থেকে তার আর কোনো খোঁজ নেই। সুমার মতো লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে তার ছোটবোন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রুমা খাতুনেরও। ডী স্প্রাখের ওই শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, মেধাবী সুমা খাতুনের সংবাদটি আমি পড়েছি। পড়ে আমার মনে হয়েছে তাকে সাহায্য করা উচিত। সেদিক বিবেচনা করে দু’একদিনের মধ্যে আমি তার এক বছরের স্কুলের বেতন, প্রাইভেট খরচ, খাতা-কলম, জামা-কাপড় ও স্কুল ব্যাগসহ আনুসঙ্গিক খরচের টাকা দেবো। একই সঙ্গে সুমার মায়ের জন্য একটি সেলাই মেশিন কিনে দেবো। যাতে করে তিনি নিজে সেলাইয়ের কাজ করে দুই মেয়ের পড়ালেখার খরচসহ সংসারের খরচ বহন করতে পারেন।
এদিকে, আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার আশ্বাসের কথা শুনে খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা চর রূপসার শাজাহান হাজির বস্তির সুমা খাতুনের গোলপাতার ছাউনির ঝুপড়ি ঘরে আনন্দের বন্যা বইছে। জীর্ণশীর্ণ কুটিরের সুমা আবার স্বপ্ন দেখছে লেখাপড়া শিখে শিক্ষক হওয়ার।
** গোল্ডেন ‘এ প্লাস’ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত সুমার!
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
এমআরএম/আরবি