সেশনের শুরুতে গত সার্ক সম্মেলন স্থগিত হওয়া এবং সংস্থাটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
গত ৯-১০ নভেম্বর ইসলামাবাদে ১৯তম সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটা সম্মেলন স্থগিত হয়েছে এতে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। আমি মনে করি সার্কের কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায়নি। এখনো যথেষ্ট কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সার্ক এখনো জীবিত। (SAARC is very much alive)।
এ অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে তাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র আমাদের প্রধান শত্রু। দারিদ্র কিভাবে বিমোচন করা যায়, সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা দরকার।
তিনি বলেন, ব্যবসা, কানেকটিভিটি, জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বাড়াতে হবে। আমরা এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। বিসিআইএম, বিবিআইএন, বিমসটেক আঞ্চলিক ফোরামের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নৌপথসহ বিভিন্ন ধরনের কানেকটিভিটির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সাফটাকে শক্তিশালী করা হয়েছে। সার্ক স্যাটেলাইট উত্তক্ষেপণের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আমেরিকার পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়া থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেওয়া হবে- এ রকম আলোচনা বিষয়ে একজন প্রশ্ন তুললে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কেউ ইচ্ছা করলে বিনিয়োগ তুলে নিয়ে যাবে সেটা সম্ভব না, খুব সহজ হবে না।
বাংলাদেশের জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সম্পদ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স ট্রাস্ট ফান্ড, অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কারো জন্য অপেক্ষা না করে আমরা নিজেরাই বাস্তবায়ন শুরু করেছি।
কয়লা ভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্টে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে কি না? অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী একজনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে আমাদের ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। এটা করতে হলে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুতে আমাদের যেতে হবে। পারমানবিক বিদ্যুতসহ বিভিন্ন উৎস থেকে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি বলেন, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমরা হাই টেকনোলজির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে দূষণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায়।
পাকিস্তানি এক নাগরিক বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গে তুলতে শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তর সালে তারা যুবক ছিলো। তারা ক্রিমিনাল ছিলো। আইনের মধ্যে তাদের বিচার করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শ্রীলঙ্কান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমেসিংহে, ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী নির্মলা সীতারমনসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সরকারের প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
এমইউএম/এসএইচ
**হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম চেয়ারম্যানের
**প্রধানমন্ত্রীকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা