বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।
বর্তমানে নবজাতক চুরির ঘটনায় তোহরা বেগম নামে এক নারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে নবজাতকটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
মহানগরীর শাহ মখদুম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তোহরা একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। গতকাল তিনি ও ঢাকার অজ্ঞাত এক নারী রোজিনা বেগমের অন্তঃস্বত্ত্বা মেয়ে মুক্তিকে নিয়ে নওদাপাড়া স্বাস্থকেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরে দুপুরে অস্ত্রোপচার করে তার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
ঢাকার ওই অজ্ঞাত নারী অন্তঃস্বত্ত্বা মুক্তির অস্ত্রোপচার ও ওষুধের সব খরচ পরিশোধ করেন। এতে তার প্রতি দরিদ্র এই পরিবারের বিশ্বাস জন্মে। এই সুযোগে রাতে ঢাকার ওই অজ্ঞাত নারী নবজাতক শিশুকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে বাইরে যান।
পরে অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও আর ফিরে না আসায় কান্নাকাটি শুরু করেন নবজাতকের মা। ওই সময় বুঝতে পারে তাদের নবজাতক শিশুটি চুরি হয়ে গেছে। পরে শুক্রবার সকালে থানায় জানালে পুলিশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যায়। দুপুরে মুক্তির মা রোজিনা বেগম থানায় গিয়ে বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে পুলিশ স্বাস্থ্যকর্মী তোহরাকে আটক করে।
এসআই মতিউর রহমান জানান, ঢাকার অজ্ঞাত ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মী তোহরা বেগমকে জানিয়েছেন তিনি দরিদ্র অন্তঃস্বত্ত্বা নারীদের প্রসবের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জরিপ কাজ করেন। এজন্য তাকে অন্তঃস্বত্ত্বা মুক্তি বেগমের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু প্রসব ব্যথা ওঠায় গতকালই তাকে আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তার সব খরচও ওই নারী বহন করেন। এতে তাদের বিশ্বাস হয়। তিনি তাকে এর আগে দেখেননি বা তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করছেন মাঠকর্মী তোহরা।
এই ঘটনায় মুক্তির মা রোজিনা বেগম থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ বর্তমানে অজ্ঞাত ওই নারীকে আটকের চেষ্টা করছেন বলে জানান এসআই মতিউর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
এসএস/বিএস