রাজধানীর মতিঝিল, খিলগাঁও এলাকায় (০৭ মার্চ) তৃতীয় দিনের মতো মেয়াদোত্তীর্ণ ও লাইসেন্সবিহীন বাস চলাচল বন্ধে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।
সড়কের গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পরিচালিত অভিযান এখন জনদুর্ভাগের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
চলতে চলতে কথা হয় ব্যবসায়ী মুজিবুল হকের সঙ্গে। অভিযোগ করে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আজ এখান থেকে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলে যে সব বাস আটক করা হচ্ছে সেগুলো লোক দেখানো। থানায় নিয়ে টাকা খেয়ে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হবে! আল্টিমেটলি আবার ওই গাড়িগুলো রাস্তায় চলবে। এতে জনগণের দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই হয় না।
ছোট দুই সম্তান নিয়ে খিলগাঁও থেকে টঙ্গী যাচ্ছেন রাশেদা বেগম। দাঁড়িয়ে আছেন খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে। কোনো গাড়ি না থাকায় তিনি পড়েছেন বিপাকে। এছাড়া অনেকে রিকশা, অটোরিকশা যোগে কেউবা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম আল মুয়্যিদ বলেন, ড্রাইভারদের লাইসেন্স তো বিআরটিএ দিয়ে থাকে। আবার বাস চলাচলের অনুমতিও তারা দেয়। তাহলে কীভাবে এতোগুলো বাস লাইসেন্সবিহীন চলে? তারা এখন শুধু শুধু যাত্রীদের হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, জরিমানা করে টাকা আদায় করা উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য চালক ও বাস মালিকরা যেন সতর্ক হন। নিয়মিত অভিযান চলছে এবং জরিমানাও দিচ্ছে। তারপরও তারা সতর্ক হচ্ছেন না। তবে অভিযান অব্যাহত থাকলে পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরবে এবং চালকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
** অভিযানের খবরে সড়কে বাস উধাও
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৭
এম/এমজেএফ