আসনটিতে ভোট কেন্দ্র ১০৯টি ও বুথ ৬৩৭টি। এরমধ্যে সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।
এ কারণে নির্বাচনকে ঘিরে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) রবিউল ইসলাম।
তিনি জানান, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ভোট সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৮ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ১৬টি ইউনিট, ৪ হাজার পুলিশ সদস্য ও আনসার সদস্য ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশের বিশেষ টিম নির্বাচনী মাঠে কাজ করবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন জানান, নির্বাচনে ১০৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৩৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ২৭৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য ছাড়াও সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিমসহ প্রায় চার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চরাঞ্চল এলাকার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ১৫টি। সেসব কেন্দ্রে বেশি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। যাকে করে নির্বিঘ্নে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এরপর আসনটি শূন্য হলে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেন।
আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাত প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা আহমেদ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (লাঙ্গল), জাসদের মোহাম্মদ আলী প্রামানিক (মশাল), জেপির ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা (সাইকেল), গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম (মাছ), এনপিপির জিয়া জামান খান (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা মোহসিন (আপেল)।
উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১০৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৪০ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৪১ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
এমজেএফ