ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্প আমিই বাতিল করে দিয়েছি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্প আমিই বাতিল করে দিয়েছি

ঢাকা: পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তা হতো বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী। এটি করা হলে সুফলের চেয়ে হিতে বিপরীতই হতো। তাই এমন একটি ভুল প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এমন কিছু করতে হলে তা ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে করতে হবে।

চার দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফেরার পরদিন মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একথা জানান।



গঙ্গা ব্যারেজ নিয়ে শেখ হাসিনার ভারত সফরে যাওয়ার আগে থেকেই প্রস্তাব রয়েছে, যে ব্যাপারে কোনও অগ্রগতি হয়েছে কি না? এমন একটি প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, না পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় গঙ্গা ব্যারেজের যে নকশা তৈরি করেছে সেটি ভুল। সেটি নেওয়া হলে আমাদের জন্য আত্মঘাতি হতো। আর সে কারণেই আমি প্রকল্পটি নাকচ করে দিয়েছি।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরকম কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবেই করতে হবে। সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য এমন প্রকল্পের খরচও যৌথভাবে বহন করতে হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় পাংশায় এই বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়ে জরিপ কাজও শেষ করে ফেলেছিলো। শেখ হাসিনা বলেন, প্রকল্প নেওয়ার নামে নেওয়া হলে তাতে কাজ হবে না।  

সরকারি কিছু কর্মকর্তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরা যেনো প্রকল্প নিতে পারলেই খুশি হন। তাতে তাদের সময় ভালো কাটে। কিন্তু আমি সেটা হতে দিতে পারি না।  

প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারেজটি করা হলে তা তিস্তার মতোই ভোগান্তি ডেকে আনতো বলে, নিজের মত দেখ শেখ হাসিনা। আর তিনি নিজের বিবেচনা থেকেই এটি বাতিল করেছেন বলে জানান।  

এ বিষয়ে ভারত বাংলাদেশ মিলে এমন একটি স্থান নির্ধারণ করে এই ব্যারেজ নির্মাণ করতে হবে যাতে দুই দেশই উপকৃত হয়, বলেন তিনি। উভয়পক্ষই সে লক্ষ্যে একমত রয়েছে।  

তিস্তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তার পানি বণ্টণ নিয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান এই সফরে আসেনি সেটা সত্য তবে অগ্রগতি অনেক হয়েছে। মমতা ব্যানার্জি একেবারে দেবেন না এমন কথা বলেননি, বলেছেন আরও যাচাই বাছাই করতে হবে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তো বলেছেনই তার ও আমার শাসনামলেই এই চুক্তি হবে। আমরা আশাবাদী।

তবে তিস্তার পানির বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েই সরকার ভাবছে, বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শুষ্ক মৌসুমে যাতে পানি পাওয়া যায় সেজন্য আমরা বর্ষা মৌসুমে বাড়তি পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে পারি। এজন্য আমরা জলাধার (রিজার্ভার) তৈরি করতে পারি।

এই জলাধারও দুই দেশ যৌথভাবে করতে পারে এমন প্রস্তাব তিনি এই সফরে দিয়েছেন, জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা পশ্চিমবঙ্গকে বলেছি, তোমরাও জায়গা দেখো, আমরাও জায়গা দেখি। যাতে জলাভার নির্মাণ করে বর্ষায় পানি ধরে রাখতে পারি এবং শুষ্ক মৌসুমে তা কাজে লাগাতে পারি।

আমাদের এমন ব্যবস্থার দিকে যেতেই হবে। এছাড়া নদীগুলো ভালো করে ড্রেজিং করলেও আসতে পারে সমাধান, বলেন প্রধানমন্ত্রী।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
ওএইচ/জেএম

**
তোর্সার পানি তিস্তায় এনে দেওয়ার পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছি
** ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিরসনে আগেও কাজ করেছি
** বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতে পার্টনার খুঁজে পেয়েছেন
** ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
** আমি বললাম, হোয়াট অ্যা প্লেজ্যান্ট সারপ্রাইজ!
** সহযোগিতার দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।