রোববার (১১ জুন) সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে প্রতি হাজার ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন খরচ ২৫৬ টাকা ৪০ পয়সা।
সরকারি দলের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের ফলে গ্যাসের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপের ফলে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ দৈনিক ১ হাজার ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পেলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। গ্যাসের ঘাটতি পূরণে এবং ভবিষ্যতে চাহিদা পূরণে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলায় এবং ভবিষ্যতে গ্যাসের চাহিদা পূরণে সরকার এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। প্রথম দফায় ২০১৮ সালের প্রথম দিকে দৈনিক ৫শ’ মিলিয়ন ঘনফুট এবং ২০১৮ সালের শেষের দিকে আরও ৫শ’ মিলিয়ন ঘনফুট রিগ্যাসিফাইড এলএনজি সিস্টেমে যোগ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি দৈনিক এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতা বিশিষ্ট দুটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ আরও জানান, বর্তমানে দেশে চাহিদার তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তবে দেশে জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে মাঝে মাঝে আবহাওয়ার উষ্ণতা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। এর ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে কিছু লোডশেডিং পরিলক্ষিত হয়। তাছাড়া বৈরী আবহাওয়া ও বিতরণ লাইনে মেরামত কাজের জন্য কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি জানান, ভবিষ্যতে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যুৎ চাহিদা বিবেচনা করে ও ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ সুবিধা নিশ্চিতকল্পে সরকার যুযোপযোগী বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং যথাসময়ে সেগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম নিয়েছে। এ পরিকল্পনা সমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ