রোববার (১১ জুন) সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হিসেবে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সরকার দলীয় সদস্যরা।
আলোচনার সূত্রপাত করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
আবদুল মতিন খসরু বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কোনো উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা যায় না, এটি প্রমাণ করেছেন শেখ হাসিনা। ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে মাইনাসের পরিকল্পনা হয়েছিলো। তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিলো। কিন্তু জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসা তাকে ফিরিয়ে এনেছে। তিনি মৃত্যুকে জয় করেছেন। বঙ্গবন্ধুর শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন।
ক্রিকেটে একের পর এক বিজয় প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের কারণে সম্ভব হচ্ছে বলেও দাবি করেন আবদুল মতিন খসরু।
সাবিনা আক্তার তুহিন বলেন, জনগণের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসার প্রতিদান পেয়েছেন শেখ হাসিনা। রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে গেলেও জননেত্রীর মুক্তির দাবি থেকে পিছু হটেননি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
তিনি আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা দিনের পর দিন বাচ্চার মুখ দেখতে পারিনি। বাচ্চা মায়ের দুধ খেতে পারেনি। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিলো, নেত্রীর মুক্তি। এই দিনে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছিলো’।
গ্রেফতারের সময়ে দেশবাসীকে লেখা শেখ হাসিনার চিঠিটি পড়ে শোনান নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, ‘এ চিঠি আমাদের কঠিন সময়েও আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করেছে। জনগণের প্রতি তার অঙ্গীকার কর্মীদের আরো সাহসী করে তুলেছে। যে কারণে আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এতে বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত হয়েছে’।
উম্মে রাজিয়া কাজল বলেন, শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েও ব্যর্থ হয় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এক পর্যায়ে মিছিল-সমাবেশ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যায়নি। আন্দোলনের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
এসএম/এএসআর