বুধবার (১২ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে তার মনিটরিং শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) শিশুটিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক ডা. জুলফিকার আলী লেলিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুটির খোঁজ-খবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহন করবেন।
বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন
প্রধানমন্ত্রী এর আগেও বিরল রোগে আক্রান্ত আবুল বাজানদারসহ রানা প্লাজায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন।
মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, একই ইউনিটের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খন্দকার, ঢামেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলাম, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল ও ঢামেক হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান।
ড. সামন্ত লাল বলেন, আমাদের ধারণা শিশুটি ভুল চিকিৎসার শিকার বা সঠিক সময়ে চিকিৎসার জন্য সঠিক জায়গায় নেওয়া হয়নি। যদি সঠিক সময়ে তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হতো তাহলে রোগটি বাড়তো না।
তিনি আরো বলেন, শিশুটির ডান হাতের ফাংশন রয়েছে, তবে হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করতে পারছেনা। সে রক্তশূন্যতা ও অপুষ্ঠিতে ভুগছে। অস্ত্রোপচারের আগে তাকে ৭-৮ দিন প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে, ফিটনেসের জন্য।
এরইমধ্যে শিশুটির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চারটি রোগ চিহ্নিত করেছি। এর যেকোনো একটিতে সে আক্রান্ত।
তবে রোগগুলোর নাম বলেননি এ চিকিৎসক।
বিরল রোগে আক্রান্ত ১১ বছরের মুক্তামনিকে মঙ্গলবার ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শিশুটির এক হাত ফুলে শরীরের চেয়েও ভারী হয়ে গেছে।
মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
সাদা রঙের শত শত পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই ফুলে যাওয়া অংশে। শরীরের অসহ্য ব্যথা ও যন্ত্রণায় মুক্তামনি বসতেও পারে না। স্কুলে যাওয়া তো দূরের থাক বসে খেলাধুলাও করতে পারে না সে।
ঢামেক হাসপাতালে ভর্তির পরই মুক্তামনির চিকিৎসায় ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
এজেডএস/জেডএস