এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ঘরবাড়ি নির্মাণে তিন হাজার বান্ডিল ঢেউটিন ও ৯০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় পানি বিশুদ্ধকরণ মোবাইল গাড়ি পাঠানো হয়েছে।
বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন ও বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ কার্যাক্রম পর্যবেক্ষণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এ সময় তিনি বন্যার্তদের ঋণের কিস্তি আদায় না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষের খাবার, চিকিৎসা ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্তদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসে মন্ত্রী জানান, উত্তরে পানি কমতে শুরু করেছে, তবে এই পানি এসে দেশের মধ্যাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা ও নদী ভাঙগন সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর ও ভোলা এলাকায় মেঘনা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে জানান মন্ত্রী।
এজন্য সরকারের যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে মায়া এসব এলাকার জেলা প্রশাসকদের অতি দ্রুত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে বন্যার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে না জানালেও মন্ত্রী বলেন, সরকারের ত্রাণসামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ রয়েছে। এক ঘণ্টার মধ্যে ত্রাণ ছাড় করে ১১-১২ ঘণ্টার মধ্যে সরবরাহ করতে পারি। একটি মানুষও ত্রাণের বাইরে থকেবে না।
নিম্নাঞ্চলের মানুষদের বাড়িঘর উঁচু করে দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বলেন, দারিদ্র, প্রতিবন্ধী এবং যে পরিবারে নারীই প্রধান সেসব বাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উঁচু করে দেওয়া হবে। গত বছর ৫৭০টি বাড়ি উঁচু করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭/ আপডেট সময়: ১৩১০ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জিপি