ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে ধারণ করে আধুনিক প্রযুক্তির  ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫ বিতরণকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন সব কিছু করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের বিনোদন যোগানোর পাশাপাশি আমাদের এখানকার এই শিল্পটা যেন আর্ন্তজাতিকভাবে আরো মর্যাদা অর্জন করতে পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।

সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এই ক্ষেত্রে যেন পিছিয়ে না থাকি। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশে আমাদের যারা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তারা আরো উন্নত মানের সিনেমা করবেন। যাতে করে তা আমাদের ঐতিহ্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি, কৃষ্টি সব কিছুকে ধারণ করতে পারে। ’

প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে টিকে থাকতে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ওপর জোর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

দক্ষ স্ক্রিপ্ট রাইটার তৈরির তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়, হৃদয়ে গ্রথিত হয় এমন চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষ স্ক্রিপ্ট রাইটার তৈরি করতে হবে।

দক্ষ স্ক্রিপ্ট রাইটিং এর অভাবের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এর উন্নয়নে দেশের বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক ও গুণীজনদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একমাত্র চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই দেশের মানুষের খুব কাছে যাওয়া যায়। সমাজ পরিবর্তনেও চলচ্চিত্রের ভুমিকা অনেক।

সিনেমা হলগুলোকে ডিজিটাল করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তিনি।

দুঃস্থ-অসহায় শিল্পী ও কলা-কুশলীদের সহযোগিতায় ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক জ্ঞানী-গুণী শিল্পী ও কলা-কুশলীকে জীবন সায়াহ্নে এসে খুব কষ্ট ভোগ করতে হয়। এ কারণে তাঁদের সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য আমরা যে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি, এটা আরও বড় করা প্রয়োজন। এজন্য একটা বড় ও ভাল ফান্ড গঠনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে সত্যিকারের শিল্পী ও কলা-কুশলীরা যাতে মূল্যায়িত হন সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখার জন্য জুরি বোর্ডের সদস্যদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পুরস্কারের জন্য বাছাই করার ক্ষেত্রে সবাইকে নজর দিতে হবে যাতে সত্যিকারের শিল্পী ও কলা-কুশলীদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্য কাউকে দিতে কেউ যেন চাপ সৃষ্টি না করে।

চলচ্চিত্রশিল্পী, কলা-কুশলীদের এই মিলনমেলায় প্রধানমন্ত্রী এ সেক্টরে গৌরবোজ্জ্বল ও গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২৫টি ক্ষেত্রে ৩১ জনের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৫ এর পদক তুলে দেন।

এবার আজীবন সম্মাননা (যুগ্মভাবে) পাচ্ছেন অভিনেত্রী শাবানা ও কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌসী রহমান।

আর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (যুগ্মভাবে) হয়েছেন শাকিব খান (আরো ভালোবাসব তোমায়) ও মাহফুজ আহমেদ (জিরো ডিগ্রি)। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন জয়া আহসান (জিরো ডিগ্রি)। সেরা চলচ্চিত্রসহ সর্বাধিক পুরস্কার পেয়েছে রিয়াজুল রিজু পরিচালিত ‘বাপজানের বায়স্কোপ’ ছবিটি।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থানীয় কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শাবানা বক্তব্য রাখেন।

চলচ্চিত্রে সংকট চলছে জানিয়ে সবাইকে এক হয়ে তা দূর করার আহ্বান জানান শাবানা।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে দর্শকসারিতে বসে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও পূর্ণিমার উপস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র জগতের তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রী, শিল্পীরা অংশ নেন।

** জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
এমইউএম/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।