ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তামনির রক্তনালীতে টিউমার!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৭
মুক্তামনির রক্তনালীতে টিউমার! মুক্তামনি

ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনির বায়োপসি রিপোর্টে রক্তনালীতে টিউমার ধরা পড়েছে।

রোগটিকে ইংরেজিতে ‘হেমানজিওমা’ বলে এবং এটি বিরল রোগ নয় বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সকালে বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।

ডা. সামন্ত লাল জানান, ‘মুক্তামনির বায়োপসি রিপোর্টে রক্তনালীতে টিউমার ধরা পড়েছে। এ রোগটিকে ইংরেজিতে বলে ‘হেমানজিওমা’ এবং এটি বিরল রোগ নয়। তার রিপোর্টটি নিয়ে আমরা বেলা ১১টার পর ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড আবার বসবো। রিপোর্টটি নিয়ে আমাদের মধ্যে পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে’।

পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

গত ২৭ জুলাই ভিডিওতে মুক্তামনিকে ও তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন দেখেন এবং ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোর্ড মিটিং করেন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা।

পরে ই-মেইলে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালটি জানিয়েছিল যে, ‘রোগটি ভালো হবার নয় ও সেটি অস্ত্রোপচার করার মতোও নয়’।

এ পর্যবেক্ষণ জানার পর গত ০২ আগস্ট ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সভায় ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সকল ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করে বায়োপসি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সে অনুসারে গত শনিবার (০৫ আগস্ট) সফলভাবে মুক্তামনির বায়োপসি অপারেশন সম্পন্ন হয়।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাশদাহ গ্রামের দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন ও আসমা খাতুন দম্পতির মেয়ে মুক্তামনি। এ রোগে তার ডান হাত ফুলে যায়। সাদা রঙের শত শত পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই ফুলে যাওয়া অংশে। শরীরের অসহ্য ব্যথা ও যন্ত্রণায় মুক্তামনি বসতেও পারে না। এরপর হাতে পচন ধরে। হাতের সঙ্গে বুকের একাংশেও ছড়িয়ে পড়েছে রোগটি। দীর্ঘ নয় বছরেও মুক্তার রোগ ধরতে পারেননি চিকিৎসকরা।

গত ০৮ জুলাই বাংলানিউজে ‘নয় বছরেও ধরা পড়েনি মুক্তার রোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। এরপর অনেকেই এগিয়ে এসেছেন, সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন মুক্তার চিকিৎসায়।

এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় একটি প্রতিনিধি দল তার বাড়িতে গিয়ে শিশুটিকে নিয়ে আসেন। গত ১১ জুলাই ঢামেক হাসপাতালে ভর্তির দিনই মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মুক্তামনির চিকিৎসায় ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭/ আপডেট: ১৫২২
এজেডএস/এএটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।