মুক্তামনির বায়োপসি রিপোর্টে রক্তনালীতে টিউমার (হেমানজিওমা) ধরা পড়ার পর এ নিয়ে পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন ও প্রধান ডা. আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তারা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী শনিবার সকালে মুক্তামনির হাতে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার শুরু হবে।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, তার রোগটি কোনো ‘বিরল রোগ’ নয়। এ ধরনের রোগ অনেকেরই হয়ে থাকে।
মঙ্গলবার সকালে মুক্তামনির বায়োপসি রিপোর্টে রক্তনালীতে টিউমার ধরা পড়ে। এ রোগটিকে ইংরেজিতে বলে ‘হেমানজিওমা’। বায়োপসি রিপোর্ট দেখে মুক্তামনির চিকিৎসায় গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড দুপুরে আলোচনায় বসেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, মুক্তামনির বায়োপসি রিপোর্টে ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ নেই। তবে অস্ত্রোপচারের সময় তার রক্তপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাশদাহ গ্রামের দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন ও আসমা খাতুন দম্পতির মেয়ে মুক্তামনি। এ রোগে তার ডান হাত ফুলে যায়। সাদা রঙের শত শত পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই ফুলে যাওয়া অংশে। শরীরের অসহ্য ব্যথা ও যন্ত্রণায় মুক্তামনি বসতেও পারে না। এরপর হাতে পচন ধরে। হাতের সঙ্গে বুকের একাংশেও ছড়িয়ে পড়েছে রোগটি। দীর্ঘ নয় বছরেও মুক্তার রোগ ধরতে পারেননি চিকিৎসকরা।
গত ০৮ জুলাই বাংলানিউজে ‘নয় বছরেও ধরা পড়েনি মুক্তার রোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। এরপর অনেকেই এগিয়ে এসেছেন, সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন মুক্তার চিকিৎসায়।
এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় একটি প্রতিনিধি দল তার বাড়িতে গিয়ে শিশুটিকে নিয়ে আসেন। গত ১১ জুলাই ঢামেক হাসপাতালে ভর্তির দিনই মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মুক্তামনির চিকিৎসায় ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭/আপডেট: ১৪৫৩
এজেডএস/এএটি/এএসআর