তিস্তার ওপারের চর বজরা থেকে সব ছেড়ে আসতে হয়েছে বজরার রাস্তায়। এমনিতেই ছিলো ভাঙা ঘর।
তবে রক্ষা করতে পেরেছেন শুধু গরুটিকে। চরের ঘাস খাইয়ে চলে যাচ্ছিলো কোনোমতে। এখন গরুর সঙ্গে শুতে হচ্ছে এক কাতারে। উদ্বাস্তু এ ক্ষণস্থায়ী ঘরেই একইসঙ্গে চলছে রান্না-খাওয়া, থাকা।
ঘরের মাঝে একটি বাঁশের বেড়া। গরুটি কোনোরকম বেয়াড়া আচরণ করলে যা ভেঙে যাবে মুহূর্তেই। পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে এক হাঁড়িতে চলছে রান্না। খাবারের সংকট, খাবার পানির সংকট, সংকট জ্বালানিরও। তাই জোটবেধেই রান্না করছেন রাস্তায় আশ্রয় নেওয়া বানভাসিরা।
ঘরের মেঝের মাটিতে স্তূপ করে রাখা কাপড়-তোষক। থালা-বাটিও ছড়ানো ছিটানো। ধুলো-বালি পড়লে পরিষ্কার করার পরিষ্কার পানিও নেই। ঘুম হয় না। ঝিম ধরলে নাকে লাগে গরুর চোনার গন্ধ।
রাত হলে বাড়ে মশার উৎপাত। পানির ঠাণ্ডা হাওয়া আর শো শো বাতাস। মাঝে মধ্যে পানির হুংকার কাঁপিয়ে দেয় বুক। জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু এ কেমন অনিশ্চয়তার জীবন! উদ্বাস্তুর ফি বার উদ্বাস্তু হওয়ার মতো।
পাঠকাঠির বেড়া দিয়ে ঢোকা ঠিকরে আলোয় দেখা সে জীবনের রেখাপাত মলিন মুখকে আর কতো মলিন করবে? জীবন সংসার যার পাঁচ ফুট বাই ১০ ফুটের তাসের ঘর!
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এএ/এএসআর
নির্বাচনী এলাকায় ‘তুলোধুনো’ এমপি দারা!
‘নির্বাচিত হলে গ্রামেও আনবো ডিজিটাল সুবিধা’
এমপি হলে পুরো বেতন অসচ্ছল নেতাকর্মীদের দেব
ভরসন্ধ্যায় নির্বাচনী উত্তাপ রাজশাহী মহানগর আ'লীগ অফিসে
এই আমাদের বিমানবন্দর রেলস্টেশন!