সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির এ সংসদ সদস্য।
এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
ফিরোজ রশিদ বলেন, ৩০০ থেকে এক হাজার শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিদিন আন্দোলন, সংগ্রাম হচ্ছে। একটা বিব্রতকর অবস্থা। নির্বাচন সামনে, এই মুহূর্তে ট্যাক্স যারা বাড়ালো, তারা কী ভোট নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে? সরকারের মধ্যে এরা কারা?
‘এতো বছর মনে পড়লো না ট্যাক্স বাড়ানোর কথা। নির্বাচনের আগে ট্যাক্স বাড়িয়ে ঢাকা শহরকে অশান্ত করে দেওয়া হচ্ছে। ’
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ধানমন্ডি এলাকার বাড়িওয়ালারা বলেছেন, বাস্তবসম্মত না হলে কোনো গৃহকর দেবেন না তারা। যারা ট্যাক্স বাড়াচ্ছেন তাদের বলছি- মনে রাখতে হবে-ভোট তো তাদের হাতে। এখন ট্যাক্স বাড়ালেন ভোটের সময় তাদের কাছেই যেতে হবে। আমরা ধরতে না পারলেও তাদের কাছে ধরা দিতে হবে!
নাগরিক সুবিধার অপ্রতুলতার কথা উল্লেখ করে জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, নাগরিক জীবনে সম্পূর্ণ নাগরিক সুবিধা নেই। একটু বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি জমে একাকার হয়ে যায়। মশা, ডেঙ্গু, পানির মতো হাজারো সমস্যা।
‘নগরবাসীকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত না করে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে পারে না। এতো হারে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে-যার আগে বছরে ৯ লাখ টাকা দিতে হতো, তাকে এখন দিতে হচ্ছে ৬৫ লাখ টাকা! এসব কার কাছে বলবো। তবে আমরা না ধরলেও জনগণ ধরবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এসএম/এমএ