বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু হোসেন বাবলা। একই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ট্যাক্স বাড়ানো নিয়ে যে কথা উঠেছে তা সঠিক। নিজে টিভিতে দেখেছি বেশ কিছু লোক এ সিদ্ধান্তটার সমালোচনা করেছেন। ট্যাক্স বাড়বে এটা অস্বাভাবিক কিছু না, সব কিছুই দিন দিন বাড়ে। সম্ভবত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কয়েক বছর ধরে ট্যাক্স বাড়ান না। কিন্তু সেটা যদি একসঙ্গে বাড়ানো হয় সেটা মানুষ গ্রহণ করবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধি, জনগণের কথা বলি, জনগণের সুখ-দুঃখের ভাগি আমরা। হঠাৎ যার ট্যাক্স ছিল ৮ হাজার টাকা তার যদি এখন ৭২ হাজার টাকা ট্যাক্স দিতে হয় আকস্মিকভাবেই প্রতিক্রিয়া হবে। আমার নিজেরও একটা বাড়ি আছে বনানীতে। এটা মনে হয় পুনঃবিবেচনার প্রয়োজন।
এসময় তিনি প্রশ্ন উত্থাপনকারী সদস্যের উদ্দেশে বলেন, তিনি যদি নোটিশ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিবেচনা করতে পারে।
আবু হোসেন বাবলা বলেন, ঢাকা শহরে হোল্ডিং ট্যাক্সের ব্যাপারে দেড় থেকে দুই কোটি মানুষ অত্যন্ত অসহায়ত্বের মধ্যে রয়েছে। জলবদ্ধতার কারণে এমনিই মানুষ দিশেহারা, তার মধ্যে এই হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো যৌক্তিক নয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও মেয়ররা যদি হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ান তাহলে কাউন্সিলরদের তার জবাব দিতে হয়। নির্বাচনের বাকি আর মাত্র একটি বছর। বাস্তবে আর আছেই ৬-৭ মাস। এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
****বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্বাচন করতে রাজি হয় না
চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামেও একইভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। এটা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে। তাই সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি। এরআগে জাতীয় পার্টির আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদও বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এসএম/এএ