রোববার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা ডি অলিভেরা জুনিয়রের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত, রাশিয়া, চীনসহ অনেক ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় বাংলাদেশের ঘোষিত ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে কিনা? প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, বিএনপি এটা (রোহিঙ্গা) নিয়ে রাজনীতি করছে। বাংলাদেশের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু ছয়জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আসছেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ওয়াং ই) শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন। তিনিও বলেছেন রোহিঙ্গাদের ফেরানো সহজ হবে না। তবে এটা এখন সারাবিশ্বে আলোচিত ইস্যু (রোহিঙ্গা)। আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুকে আর্ন্তজাতিক মহলে তুলে ধরতে পেরেছি। আমরা আশা করছি, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে পারবো।
ভারত, চীন, রাশিয়ার মিয়ানমারের পক্ষ নেওয়ার বিষয়ে তোফায়েল বলেন, দেশগুলো ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থে এমন অবস্থান নিয়েছে। মিয়ানমারের কালাদান নদীর তীরে ভারত গড়ে তুলছে বিশাল বহুমুখী অত্যাধুনিক বন্দর। চীন রাখাইনে অর্থনৈতিক জোন, জ্বালানি পাইপ লাইন, তেল-গ্যাস খাতে কাজ করছে। রাশিয়া তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে। তাই তারা মিয়ানমারের পক্ষ নিয়েছে। তবে এখন সবাই আগের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। ভারত আর আগের অবস্থায় নেই। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, তারা কোনো পক্ষ নেবেন না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশেরও আলাদা আলাদা সম্পর্ক আছে। ফলে বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগে কোনো সমস্যা হবেনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
আরএম/জেডএস