বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বিতীয় ব্লু-ইকোনমি বিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মিলে জয়েন ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলে আগামী ২৫ নভেম্বর এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে বলে জানান শাহরিয়ার।
দুপুরে দেশটির রাজধানী নেপিদো’তে দুই দেশের মধ্যে স্মারক সই হয়। আশা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে নতুন করে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যাবে।
বাংলাদেশের হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী স্মারক সইয়ে নেতৃত্ব দেন। মিয়ানমারের পক্ষে শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী উ চি টন সোয়ে সই করেন।
রোহিঙ্গাদের ফেরতের ইস্যু ছাড়াও নাফ নদীর সীমানা রেখা বিনিময় বিষয়ক আরও একটি স্মারক সই হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহমুদ আলী। এছাড়া তারা ১৯৯৮ সালের সীমান্ত নির্ধারণী চুক্তি নবায়নে স্মারক বিনিময় করেন।
এর আগে সকালে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠকে বসেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী।
গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইনে পুলিশ ক্যাম্প ও সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলা হয়। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে নতুন করে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
কেজেড/আরআর