শনিবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে মরদেহ বহনকারী গাড়ি বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের ৮০ নম্বর বাসায় পৌঁছে। লন্ডন থেকে বিমানে মরদেহ নিয়ে সঙ্গে আসেন আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক, ছেলে নাভিদুল হক ও নাতনি।
সকাল থেকেই বাসায় ভিড় করেন আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা। বাসার ভেতরে নিকট আত্মীয়রা; বাইরে অবস্থান নেন হাজারো ভক্ত। শুধু একবার নগর পিতাকে এক নজর দেখার জন্য তাদের আকুতি। তবে মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষদের উদ্দেশ্য করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, মেয়র সাহেবকে দেখতে হলে আপনারা আর্মি স্টেডিয়ামে যান। সেখানে তাকে দেখতে পাবেন। বাসায় আপনজনদেরও দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আর্মি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয় আনিসুল হকের মরদেহ। লাখো মানুষের অংশগ্রহণে শেষ হয় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। এরপরে সবাই এক সঙ্গে ভিড় করেন মেয়রের কফিনের কাছে। শুধু একবার দেখার জন্য। মেয়রের কফিন ঘিরে বিশাল জটলা তৈরি হয়।
লাখো মানুষের শৃঙ্খলার জন্য মাইকে ঘোষণা দেন টিভি উপস্থাপক আব্দুর নূর তুষার। তিনি বলেন, আপনারা মেয়রের কফিনের কাছে ভিড় করবেন না। স্ক্রিনে তাকান, না হলে মেয়রকে দেখা শেষ হবে না। স্ক্রিনে সবাই এক নজর তাকে দেখুন। না হলে রাত পোহাবে তারপরও দেখা শেষ হবে না।
বিশাল আর্মি স্টেডিয়ামের দক্ষিণ পাশে লাগানো হয় ডিজিটাল স্ক্রিন। জানাজায় অংশ নেওয়া সব মানুষের চোখ সেখানেই। স্ক্রিনেই প্রিয় মেয়রকে এক নজর দেখেন সবাই। প্রিয় মুখটি স্ক্রিনে দেখে চোখের পানি ফেলতে থাকেন অনেকে। কারণ আর কোনো দিনই দেখা হবে না প্রিয় নগর পিতাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এমআইএস/আইএ