ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জেলায় জেলায় কম্বল-শুকনো খাবার, কন্ট্রোল রুম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৮
জেলায় জেলায় কম্বল-শুকনো খাবার, কন্ট্রোল রুম সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া

ঢাকা: চলমান শৈত্যপ্রবাহে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল ও শুকনো খাবার পাঠিয়ে সেগুলো বিতরণ নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়, অধিদফতর এবং জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে সরকার।
 

এছাড়া সরকারের বরাদ্দকৃত কম্বল এবং শুকনো খাবার সুষ্ঠুভাবে বরাদ্দের জন্য ২০ জেলায় ২০ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
 
শৈত্যপ্রবাহে শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ জানাতে মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।


 
মন্ত্রী জানান, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ লাখ ১১ হজার ৯০০ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৮ লাখসহ সর্বমোট ২৮ লাখ ১০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শীতার্ত মানুষের জন্য ৮০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।

গত কয়েক দিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে সোমবার (০৮ জানুয়ারি) পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২.৬ ডিগ্রিতে নামে তাপমাত্রা। দিনাজপুর, ঠাঁকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, যশোর, ঝিনাইদহ, পাবনা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়াকে শীতপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার।
 
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, শৈত্যপ্রবাহে শীতবস্ত্রের জন্য কেউ যেন কষ্ট না পায়। সেই আলোকে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি ছিলো। শৈত্যপ্রবাহের আগেই ৬৪ জেলায় ৭ লাখ কম্বল এবং শীতপ্রবণ ৪১টি জেলায় দুই লাখ কম্বল সরবরাহ করেছি। আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৮ লাখ কম্বল এরইমধ্যে বিতরণ শেষ হয়েছে।
 
‘শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার সঙ্গে সোমবার ২০ জেলায়, যেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ কাতর সেখানে তাৎক্ষণিক এক লাখ কম্বল এবং ৮০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠিয়ে দিয়েছি। এছাড়া সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী ১২ হাজার ৯০০ কম্বল বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছি’।
 
মন্ত্রী জানান, ২০ জেলায় ২০ জন কর্মকর্তা চলে গেছেন। শীত না নামা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন, যে কম্বল পাঠিয়েছি সেগুলো সুষ্ঠু বণ্টন করবেন এবং আরো প্রয়োজন হলে পাঠানো হবে।
 
‘আশ্বস্ত করতে চাই, কম্বল, শুকনো খাবার, টাকা মজুত আছে। শীতে কোনো মানুষ কষ্ট পাবে না। সেজন্য যা যা করা দরকার, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা তা  করবো’।
 
মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর এবং জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। যে জেলা থেকে যে ধরনের খবর আসবে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। মানুষ যেনো শীতে কষ্ট না পায় সেজন্য যা যা করা দরকার সরকার ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করবো।
 
শীতার্ত মানুষগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতি দেখা দিলে আমাদের সে প্রস্তুতি আছে।
 
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়জুর রহমানকে ফোকাল পয়েন্ট করে কন্ট্রোল রুম (০১৭২৭২১২১৬৯) খোলা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
 
‘কন্ট্রোল রুমের মূল উদ্দেশ্য হলো ২৪ ঘণ্টা উই আর স্ট্যান্ডবাই’, বলেন মন্ত্রী।

সচিব শাহ কামাল জানান, ডিজি অফিসে আরেকটি কন্ট্রোল রুম (০১৭১২০০০৬৩) খোলা হয়েছে। এছাড়া জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম কাজ করবে।
 
শীতে মারা গেছে, কম্বলবিহীন বা ওই ধরনের খবর আমাদের কাছে পৌঁছায়নি বলে জানান মন্ত্রী। আর সচিব বলেন, একজনেরও মৃত্যু হয়নি। শীতের কারণে বা কম্বলের কারণে মৃত্যুর ঘটনা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯,২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।