বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীতে আয়োজিত এক কর্মশালায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনে নবনিযুক্ত মন্ত্রী একেএম শাহাজাহান কামাল এসব কথা বলেন।
‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণে টেকসই পর্যটন উন্নয়নে জাতিসংঘ ঘোষিত স্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।
সকাল সাড়ে ন’টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মন্ত্রী শাহজাহান কামাল যোগ দেন সাড়ে ১১টার পর। মন্ত্রীর দেরিতে আসা নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আগতদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শাহজাহান কামাল বলেন, পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশ অপার সম্ভবনার দেশ। ৮০ লাখ পর্যটক দেশের ভেতরে ভ্রমণ করেছেন, যা একটি ইতিবাচক দিক।
‘২০১৭ সাল বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে সফল বছর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব পর্যটন সংস্থার জরিপে প্রতিবছর এখাতের অর্থনীতি ৭ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন। যা বিশ্বে মোট প্রবৃদ্ধির ১০ শতাংশ। কিন্তু দেশে এ প্রবৃদ্ধির হার ২ শতাংশের একটু বেশি। বিশ্বের দশটি কর্মসংস্থানের মধ্যে পর্যটন শিল্পও একটি। এখাতের উন্নয়নে আমাদের যে সম্ভাবনা আছে তাকে কাজে লাগাতে হবে।
রাজধানীর মিন্টু রোডের হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের এনেক্স ভবনে (বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স) ট্যুরিজম বোর্ডের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এ কর্মশালায় পর্যটন সংশিষ্ট ৩০ জন সরকারি কর্মকর্তা অংশ নেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমরান।
তিনি বলেন, কয়েকদিনে আমার উপলব্দি নতুন পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে
একেএম শাহাজাহান কামাল এখাত নিয়ে খুবই উৎসাহী। আমি মনে করি তার নেতৃত্বে পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। তিনি খুবই আগ্রহী। এখানে বসেই মন্ত্রী আমার কাছে অনেক তথ্য জেনে নিয়েছেন।
কর্মশালার মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন বলেন, একটু দেরিতে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ায় আমি আমার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করেছি।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে পর্যটন শিল্পে প্রবৃদ্ধির ১০ শতাংশ আয় হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশে হয়েছে ২ শতাংশের কম। বাংলাদেশে এখাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সম্ভবনাও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
কেজেড/এমএ