ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পলি ব্যাগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮
পলি ব্যাগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না

সংসদ ভবন থেকে: বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জানিয়েছেন, সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ায় এবং অন্য কোনো বিকল্প না থাকায় নানা সরকারি উদ্যোগ সত্ত্বেও পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ থেকে পরিত্রাণে পাট থেকে পলিথিনের বিকল্প ব্যাগ প্রস্তুত করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মো. আবদুল্লাহর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বাংলাদেশে জলাবদ্ধতা তৈরির একটি মূল কারণ হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে পলিব্যাগ ব্যবহার।

এসব ব্যবহৃত পলিথিন সোয়ারেজ পাইপ, ড্রেন, নদী, নালার পানি প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পলি ব্যাগের বিকল্প তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক আহমদ খানের তত্ত্বাবধায়নে পাইলট পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পচনশীল ও পরিবেশবান্ধব পলিব্যাগ তৈরির উদ্দেশে প্রথমে পাট থেকে সেলুলুজ আহরণ করা হচ্ছে। ওই সেলুলুজকে প্রক্রিয়াজাত করে অন্যান্য পরিবেশবান্ধব দ্রব্যাদির সঙ্গে কম্পোজিট করে এ ব্যাগ তৈরি করা হয়। উৎপাদিত ব্যাগে ৭০ শতাংশের বেশি পাটের সেলুলুজ বিদ্যমান।

এছাড়া এতে অন্য কোনো ধরনের অপচনশীল দ্রব্য ব্যবহার হয় না বিধায় এটি তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণরূপে মাটির সঙ্গে মিশে যায়। আবিষ্কৃত এ ব্যাগের ভারবহন ক্ষমতা পলিথিনের প্রায় দেড়গুণ এবং এটি পলিথিনের মতোই স্বচ্ছ হওয়ায় খাদ্য দ্রব্যাদি ও গার্মেন্টস শিল্পের প্যাকেজিং হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী।

তিনি আরও বলেন, দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার করায় এ ব্যাগের দাম প্রচলিত পলিথিন ব্যাগের কাছাকাছিই থাকবে। পাট দ্বারা তৈরি এই পচনশীল পলিব্যাগ সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে। এ ধরনের প্যাকেজিংয়ের বিদেশেও চাহিদা রয়েছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় শিগগিরই বাণিজ্যিকভাবে এ ব্যাগে উৎপাদন করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এসএম/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।