সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশ থেকে চিকিৎসার জন্য কিছু রোগী বিদেশে চলে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ প্রবণতা রোধে আমাদের দেশে উপজেলা হাসপাতাল থেকে শুরু করে জেলা এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, সরকার মেডিকেল শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজও অনুমোদন দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৭৫টি মেডিকেল কলেজ (সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ৬টিসহ) রয়েছে, যার মোট আসন সংখ্যা ৭ হাজার ৫৬০টি। প্রতিযোগিতার মধ্যে কিছু কিছু মেডিকেল কলেজ মান অর্জনে এখনও পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করতে না পারায় মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমের মাধ্যমে বিষয়টি পরীক্ষা করে নির্ধারিত মান অর্জনে ব্যর্থ মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিগণিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ৪র্থ সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় গত বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। জনমুখী এ কার্যক্রম ও কর্মরত সব জনবলের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং বেতন-ভাতাদি বাৎসরিক ইনক্রিমেন্টসহ স্কেলে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা ও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলমান।
সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম জানান, উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী ২৮টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পেনিসিলিন ও সেফালোস্পরিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড, অ্যান্টিক্যানসার এবং হরমোন জাতীয় ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
এসএম/এএ