বিশ্ববিদ্যালয়ের তপন দা’র চায়ের দোকান, অনিকেত প্রান্তর, অদম্য বাংলা চত্বর, আলেক চাচার চায়ের দোকান, হুমায়ুন ভাইয়ের চায়ের দোকান, শহীদ মিনারসহ হলগুলোর সামনে চলতে থাকা আড্ডায় গভীর হতে থাকে রাত। আর রাত যতো গভীর হয় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য যেন ততো বাড়তে থাকে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে খুবি ক্যাম্পাসে গিয়ে মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ধরে এগুতে থাকলে আলোকসজ্জার সঙ্গে দু’পাশের গাছের সারি মিশে গিয়ে নতুন এক রূপ ধারণ করে। একটু এগিয়েই প্রশাসন ভবনের সামনে দেখা যাবে ফুলের বাগান। একইভাবে ফুলের বাগানে ঘেরা উপাচার্যের বাসভবনটিও।
সবচেয়ে আকর্ষণ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় লেকে চাঁদের আলোর খেলা। তারমধ্যে চারপাশের গাছগুলো যেন নুইয়ে পড়েছে। আর অপরাজিতা হলের সামনের সড়কে নারকেল গাছের সারি জোৎস্নাশোভিত রাত মন কাড়ে যে কারও।
আর এসব কিছুকে ছাপিয়ে সন্ধ্যা থেকে চায়ের সঙ্গে চলতে থাকে বন্ধুদের আড্ডা, সেলফিবাজি।
শুধু ক্যাম্পাসই নয়, আড্ডার পর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হোটেলগুলোতেও চলে খাওয়া-দাওয়া।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনোমিক্স ডিসিপ্লিনের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আলামিন আহমেদ নাইম বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আড্ডা ও আলোকসজ্জায় রাতের ক্যাম্পাস নতুন রূপ ধারণ করে। ইচ্ছে হয় রাতভর বসন্তের বাতাসে গা ভাসিয়ে জোৎস্না দেখতে।
সমাজ বিজ্ঞান ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, বন্ধুদের আড্ডার মধ্য দিয়ে ঘুমাতে যায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, অনেকেই আবার গভীর রাতে শুরু করে পড়াশোনা।
তবে, বিশাল এ ক্যাম্পাসের সড়কগুলোতে আধুনিক সোডিয়াম লাইট স্থাপন করলে আরও বেশি সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
আরআর