সোমবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় ইউএস-বাংলার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ সন্দেহ প্রকাশ করেন এয়ারলাইন্সটির সিইও ইমরান আসিফ।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।
ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া একটি রেকর্ডবার্তার বরাত দিয়ে ইউএস-বাংলার সিইও বলেন, বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ার সঙ্গে পাইলটের কথোপকথনের অডিও পেয়েছি। এই রেকর্ডবার্তা শুনলে আপনারা বুঝতে পারবেন, আমাদের ধারণা এটিসি টাওয়ারের ভুল নির্দেশনার কারণে প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে।
অভিযোগ করা হচ্ছে কি-না, এমন প্রশ্ন করা হলে ইমরান আসিফ বলেন, আমরা অভিযোগ করছি না, সন্দেহ করছি। বিমানবন্দরের কোন দিক দিয়ে রানওয়েতে ফ্লাইটটি অবতরণ করবে, সে বিষয়ে কোনো ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। অডিওটি ইতিমধ্যে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
আবেদ সুলতান নামের পাইলট বিমান বাহিনীর সাবেক অফিসার জানিয়ে ইউএস-বাংলার সিইও বলেন, তিনি জীবিত রয়েছেন। তার পাঁচ হাজার ঘণ্টার ফ্লায়িং অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের মনে হচ্ছে, যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি নয়, বৈমানিকেরও কোনো গাফেলতি ছিল না, এটিসির কোনো গাফেলতি ছিল।
এর আগে অবশ্য, ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) রাজকুমার ছেত্রী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘প্লেনটি ২টা ১৮ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। তার আগে কন্ট্রোল টাওয়ারের পক্ষ থেকে প্লেনের পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, সে হিসেবে এটি ২টার দিকে অবতরণের কথা। ’
ছেত্রীর ভাষ্যে, ‘যোগাযোগ করা হলে পাইলট কন্ট্রোল টাওয়ারকে জানান তিনি বিমাবন্দরের উত্তর-পার্শ্ব থেকে এসে নামবেন, কিন্তু হঠাৎ দেখা যায় প্লেনটি উত্তর-পূর্ব পাশে চলে গেছে। এরপর কন্ট্রোল টাওয়ার ফের তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চায়, তখনও পাইলট বলেন যে সব ঠিক আছে। ’
‘তারপর দেখা গেলো প্লেনটি হঠাৎ রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়লো এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে গেলো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/