নিহতরা হলেন- শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা এলাকার মৃত শরাফত আলীর ছেলে ফারুক আহমেদ প্রিয়ক (৩২) এবং তার সন্তান তামাররা প্রিয়ক (৩)।
চিকিৎসাধীন রয়েছেন নিহত ফারুক আহমেদ প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি (২৫), একই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৩) ও তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা (২৫)।
কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দুতাবাসের কাউন্সিলর আল আলামুল ইমাম (+৯৭৭৯৮১০১০০৪০১) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ফারুক আহমেদ প্রিয়ক ও তামাররা বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরই মারা যায়। এ ঘটনায় মেহেদী হাসান, সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, নিহত ফারুক আহমেদ ও আহত মেহেদী হাসান সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই। ফারুক একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন এবং মেহেদী হাসান পেশায় ব্যবসায়ী।
ফারুক আহমেদ প্রিয়কের মা ফিরোজা বেগম জানান, দুর্ঘটনার পর একমাত্র শিশু কন্যা তামাররাকে ছাড়া পরিবারের সবাইকে তারা টিভিতে দেখেছেন। তারা উভয় পরিবারই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে নেপাল যাচ্ছিলো।
সোমবার (১২ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এর আগে, দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। ঢাকা থেকে যাওয়া ৭৮ আসনের উড়োজাহাজটিতে চার ক্রুসহ মোট ৭১ জন ছিলেন।
প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সবশেষ তথ্যানুযায়ী ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন ২০ জন। তবে নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ জন। আর ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন আবেদ সুলতান জীবিত রয়েছেন বলে জানিয়েছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ১২ মার্চ ২০১৮/আপডেট: ০৬২২
আরএস/এএটি/জেডএস