কি ঘটেছে ওই ১৩ শিক্ষার্থীর ভাগ্য, এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে রোববার (১১ মার্চ)। দুই মাস পর ফলাফল প্রকাশ করার কথা রয়েছে। এরআগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বড়ই পীড়া দায়ক বললেন অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আবেদ হুসাইন।
তিনি বলেন, কলেজে নেপালের প্রায় আড়াই’শ শিক্ষার্থী রয়েছে। রোববার এমবিবিএস ১৯তম ব্যাচের ফাইনাল পরীক্ষা শেষে ওইদিন রাতেই ১৩শিক্ষার্থী গ্রিন লাইনযোগে ঢাকায় যান। সেখান থেকে সোমবার সকালে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে করে কাঠমান্ডেুর উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা।
কি ঘটেছে ওই ১৩ শিক্ষার্থীর ভাগ্যে আমাদের জানা নেই। তবে দূতাবাস ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাধ্যমে তাদের বর্তমানে অবস্থা জানার চেষ্টা করছেন বলেও জানান অধ্যক্ষ।
রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুধিতা বাড়াল ও ক্রিতি কুসুম বলেন, ওই ১৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে কয়েকজন তাদের রুমমেট রয়েছে।
এদিকে, প্লেন দুর্ঘটনায় তিন দিনের শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল কলেজ প্রশাসন। সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে কলেজ পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এনইউ/ওএইচ/