ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত সোমবার ইউএস-বাংলার প্লেন দুর্ঘটনায় পড়ে বিধ্বস্ত হয়। মোট ৭১ জনের সঙ্গে নেপালে ভ্রমণ করতে এসে ঠিক ল্যান্ডিংয়ের আগ মুহূর্তে দুর্ঘটনায় পড়ে নিহত হন ২৬ জন বাংলাদেশি।
হয়তো নেপাল ভ্রমণ শেষে আজ তারা হাস্যোজ্জ্বল সেলফি দিতেন। প্রাণখুলে কেউ লিখতেন প্রথম বিদেশ ও প্লেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। কথা ছিল নিরাপদে বাংলাদেশে ল্যান্ড করার দোয়া চেয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার। হয়তো কথা দিয়ে এসেছিলেন ফেরার সময় নিয়ে যাবেন প্রিয়জনের কাঙ্ক্ষিত কোনো উপহার। কিন্তু কোনো কথাই রাখা হলো না তাদের।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১। এতে নিহত হন ৪৯ জন। তাদের মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি। এদের মধ্যে শনাক্ত করে ঢাকায় আনা হয়েছে এই ২৩ জনের মরদেহ।
এরা হলেন- উম্মে সালমা, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার ও শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন ও এফ এইচ প্রিয়ক, -বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামাররা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
শনাক্ত না হওয়ায় আনা হয়নি পিয়াস রায়, নজরুল ইসলাম ও আলিফুজ্জামানের মরদেহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
ইইউডি/এএ