শুক্রবার (১১ মে) বিকেল থেকে রাত ৭ টা পর্যন্ত কমলনগর ও সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় কালবৈশাখী আঘাত হানে। এসময় ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়।
কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন, চর লরেন্স, তোরাবগঞ্জ, হাজিরহাট ও মেঘনা উপকূলীয় ফলকন, সাহেবেরহাট ও চর কালকিনিসহ উপজেলার প্রায় সব কয়েকটি ইউনিয়নে কম-বেশি ঝড় ও বৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে, উড়ে গেছে বসতঘরের টিনের চালা। ভেঙে পড়েছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫ শতাধিক গাছ। এ ছাড়া শিলাবৃষ্টিতে সয়াবিন, বাদাম, মরিচ, শাক-সবজিসহ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
চর মার্টিন, চর লরেন্স ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ফাজিল বেপারিরহাট এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গেছে, ঝড়ে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৫ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ভেঙে ও হেলে পড়েছে।
চৌধুরীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, ঝড়ে তার বিদ্যালয়ের টিনের চালা উড়ে গেছে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে শ্রেণি কক্ষও।
এদিকে, রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের দুইপাশের বেশ কয়েটি গাছ রাস্তার ওপর ভেঙে পড়ে যান চালাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঝড়-বৃষ্টি শেষে স্থানীয়দের সহযোগীতায় গাছ সরিয়ে ফেললে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কি পরিমাণ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষণিক কৃষিবিভাগ থেকে তা জানা সম্ভব হয়নি। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ইউনিয়ন ভিত্তিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করছেন বলে জানা গেছে।
কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একেএম নুরুল আমিন, চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ, সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, চরফলকন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজী হারুনুর রশিদ, হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতন কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তাদের ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গাছপালসহ ফসলের ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
এসআর/ওএইচ/