ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাসিক নির্বাচনে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ লিটন-বুলবুলের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
রাসিক নির্বাচনে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ লিটন-বুলবুলের ছবি:সংগৃহীত

রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান নিজে এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তোফাজ্জল হোসেন তপু এ অভিযোগ করেছেন।

আওয়ামী লীগের অভিযোগে বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকের নারী কর্মীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, পোস্টার-ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা, অপপ্রচার এবং ভোটারদের হুমকি ও শাড়ি-লুঙ্গিসহ বিভিন্ন রকম উপটোকনের প্রলোভন দেখানোর কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া আলাদা তিনটি ঘটনায় সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের অভিযোগে বিএনপির বিরুদ্ধে আরও তিনটি অভিযোগ দিয়েছেন খায়রুজ্জামান লিটন।

তিনি অভিযোগ করেন, গত ১০ জুলাই দুপুর ২টার দিকে ধানের শীষের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা আরডিএ মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সুলতানের দোকানে দিয়ে হুমকি দেয় এবং ধানের শীষের প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে বল প্রয়োগ করে।

এ সময় বুলবুল সুলতানকে বলেন, গতবার তুমি ধানের শীষের পক্ষে কাজ করেছো, এবার কেন লিটনের পক্ষে কাজ করছো? জবাবে সুলতান বলেন, আমি লিটন ভাইকে ভোট দিবো। তখন বুলবুল বলেন, তুমি আমার সাথে থাকবে, সুলতান উত্তর দেন, আমি লিটন ভাইয়ের ভোট করবো। বুলবুল তখন বলেন, আমার উপশহর এলাকায় তোমার বাড়ি, তোমাকে পরে দেখছি, তোমার ব্যবস্থা হবে।

এ ঘটনার সময় ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী বুলবুলের সাথে থাকা নেতাকর্মীরা সুলতানকে বিভিন্নভাবে কটুক্তি করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। এ ঘটনার পর সুলতান আতংকিত অবস্থায় রয়েছে এবং বিষয়টি নৌকার পক্ষের কর্মীদের জানান।

অপর তিনটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে খায়রুজ্জামান লিটন উল্লেখ করেছেন, গত ১১ জুলাই হেতেমখাঁ ছোট মসজিদ এলাকায় তার নৌকা প্রতীকের পোস্টার খুলে ফেলে ধানের শীষের পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তার কর্মীদের সাথে মারমুখী ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করা হয়।

অপরদিকে, গত ১০ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে আসাম কলোনী রবের মোড় এলাকায় ধানের শীষের কিছু নেতাকর্মী নৌকার প্রতীকের নারী কর্মীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি, কটূক্তি ও উত্যক্ত করে। এ সময় তারা বলে শেখ হাসিনা মরলে, তোদেরকে দেখে নিবো বলে হুমকি দেয়।

অন্যদিকে, ১১ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কোর্টস্টেশন রেললাইনের পাশের বস্তিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোটারদের প্ররোচিত করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালায়। নৌকার প্রতীকের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনে জয়লাভ করলে রাতারাতি বস্তি উচ্ছেদ করবে বলে অপপ্রচার চালায়। এছাড়াও ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিলে শাড়ি-লুঙ্গিসহ বিভিন্ন প্রকার উপটোকন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

অন্যদিকে বিএনপির অভিযোগে তাদের বেশকিছু নেতাকর্মীকে আটক করে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা, বোয়ালিয়া এবং কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে বিএনপি। তারা অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার আতিয়ার রহমান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। এগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
এসএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।